× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

চাকরি-ক্যারিয়ার
করোনায় আটকে সরকারি ৬০ হাজার নিয়োগ 
google_news print-icon

করোনায় আটকে সরকারি ৬০ হাজার নিয়োগ 

করোনায়-আটকে-সরকারি-৬০-হাজার-নিয়োগ 
করোনার কারণে হচ্ছে না চাকরির কোনো পরীক্ষা। ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় ৬০ হাজার ২২৮টি পদের নিয়োগ আটকে আছে। এ নিয়ে চরম হতাশায় আছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাদের অধিকাংশই বেকারত্বের বোঝা টানতে টানতে এখন ক্লান্ত।

করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই চাকরির বাজারে চলছে মন্দা। এই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি চাকরির নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও পরীক্ষা গ্রহণ হচ্ছে না বললেই চলে। বিশেষ করে, সরকারি চাকরির বেশ কয়েকটি পদের নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেসব স্থগিত করেছে নিজ নিজ নিয়োগ কর্তৃপক্ষ।

হিসাব করে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় ৬০ হাজার ২২৮টি পদের নিয়োগ আটকে আছে। এ নিয়ে চরম হতাশায় আছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাদের অধিকাংশই বেকারত্বের বোঝা টানতে টানতে এখন ক্লান্ত।

চার বিসিএস আটকে

৪০তম বিসিএস: ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় গত ২৭ জানুয়ারি। এই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মৌখিক পরীক্ষা এখনও শুরু হয়নি। এ বিসিএসে শূন্য পদ ছিল ১ হাজার ৯০৩।

৪১তম বিসিএস: চলতি বছরের ১৯ মার্চ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে একযোগে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এখনও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়নি। এই বিসিএসে পদের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৬৬টি।

৪২তম বিসিএস: স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন নিয়োগের জন্য ৪২তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। কিন্তু এই নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা আটকে আছে করোনার কারণে। ৬ জুন থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হলেও স্থগিত করা হয় ২৭ জুন থেকে। বিশেষ এই বিসিএসে পদের সংখ্যা ২ হাজার।

৪৩তম বিসিএস: ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ৩০ নভেম্বর। এই বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা। ইতোমধ্যে এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে পিএসসি। এক দফা পিছিয়ে প্রিলির তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ২৯ অক্টোবর।

আটকে থাকা বিসিএসগুলো নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তিনটি বিসিএসের কার্যক্রম আটকে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই যত দ্রুত সম্ভব এ বিসিএসগুলোর কার্যক্রম শেষ করা হবে। আর অফিস খুললেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল দেয়া হবে।

করোনায় আটকে সরকারি ৬০ হাজার নিয়োগ
পরীক্ষা না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন চাকরিপ্রত্যাশী অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত

নন-ক্যাডারে নিয়োগ

সিনিয়র স্টাফ নার্স: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ জানুয়ারি। এতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৮ জন। এরপর গত ১১ জুন উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এখনও লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে সিনিয়র স্টাফ নার্সে পদের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫০০। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আড়াই হাজার নয়, সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে পিএসসিতে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে ৮ হাজার ৫৩৪ জনের জন্য।

এ ছাড়া, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৫৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় গত ২ মে। এ পদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২৬ জুন ও ৩ জুলাই। কিন্তু গত ২৩ মে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে পিএসসি।

এর বাইরেও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাতটি সিনিয়র টেকনিশিয়ান পদের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত ৮ জুলাই। কিন্তু গত ২৩ জুন এই পরীক্ষা স্থগিত করে পিএসসি।

এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তোষাখানা ইউনিটের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদের সাঁটলিপি ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি পরীক্ষা এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদপ্তরের ফোরম্যান নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষাও স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন ক্যাডার) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা হচ্ছে। আর বেশ কয়েকটি মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষা করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই স্থগিত পরীক্ষাগুলোর নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।

অন্যান্য চাকরিতে নিয়োগ

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহকারী পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় গত ১ জানুয়ারি। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৯৯০ জন নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ২০ অক্টোবর। বিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে সবকিছু আটকে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে পরীক্ষা নেয়ার জন্য বেশ কিছু কাজ শেষ করে রেখেছি।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গত বছরের ২২ অক্টোবর প্রদর্শক, গবেষণা সহকারীসহ মোট ৪ হাজার ৩২টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। এ বিজ্ঞপ্তি থেকে চারটি পদের (বুক স্টার ৪৬টি পদ, নিরাপত্তা প্রহরী ২৫৫, মালী ১০০, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১৬৩) পরীক্ষা এ বছরের ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এখনও ৩ হাজার ৪৬৮টি পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পর্যায়ক্রমে পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০১৮ সালের ১১ জুলাই। বিজ্ঞপ্তিতে উপ-খাদ্য পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পদে মোট ১ হাজার ১৬৬ জন নিয়োগের কথা উল্লেখ ছিল। এর মধ্যে ১৩১টি পদের পরীক্ষা নেয়া হয় গত বছরের ৩১ অক্টোবর। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বাকি ১০ পদের ১ হাজার ৩৫টি নিয়োগের পরীক্ষা এখনও নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কারণে ১ হাজার ৩৫টি পদের পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। পরীক্ষা নেয়ার জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতিই সম্পন্ন করা হয়েছে।’

সিলেট গ্যাসফিল্ডের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ২৪ আগস্ট। বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পদে মোট ১০৪ জন নিয়োগের কথা উল্লেখ রয়েছে।

পেট্রোবাংলায় বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় চলতি বছরের ১৬ মে। বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী ব্যবস্থাপকসহ মোট ১১৫টি পদের কথা উল্লেখ রয়েছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সহকারী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ২২ পদে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

কম্পটোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয়ের অডিটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ। বিজ্ঞপ্তিতে অডিটরসহ মোট ৩২৩টি পদে নিয়োগের কথা বলা হয়। এ বছরের ২৬ জুন এ নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার সব কার্যক্রম শেষ করলেও পরবর্তী সময়ে করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়।

হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অডিটর, জুনিয়র অডিটরসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ৫ এপ্রিল। বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন পদে মোট ১ হাজার ৯০১টি পদের কথা উল্লেখ রয়েছে।

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় চলতি বছরের ৩ মে। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৩১৭ পদে লোক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষকসহ ১২টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১ হাজার ১৯৪টি পদে লোক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ জুডিশিয়ারি সার্ভিস কমিশন গত ১৯ জানুয়ারি সহকারী জজ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১০০টি পদের কথা উল্লেখ করা হয়।

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ গত ২১ মে কয়েকটি পদে ১০টি গ্রুপে মোট ১ হাজার ৬০৪টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি করা হয়। বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে একাধিক গ্রুপ আছে। গ্রুপ অনুসারে আলাদা পরীক্ষা হবে।

এসব পরীক্ষার সবগুলোর ক্ষেত্রেই বলা হচ্ছে, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই শুরু হবে নিয়োগ কার্যক্রম।

চাকরিপ্রত্যাশীরা হতাশ

নিয়োগ পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত না হওয়ায় চরম হতাশ চাকরিপ্রত্যাশীরা। তেমনই একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের ছাত্র মো. আবিরুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় চাকরির প্রস্তুতি নেয়ার পরও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটছে। এভাবে আর কত দিন চলবে কে জানে? পরিবারের সবাই আশা করে আছে খুব শিগগির সরকারি চাকরি হবে। কিন্তু করোনার কারণে এখন তো পরীক্ষাই অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।’

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের রাশেদুল ইসলামও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘স্নাতকোত্তর শেষ হওয়ার পরই চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকি; তবে করোনার কারণে এখন কোনো নিয়োগের পরীক্ষাই অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এভাবে কত দিন চলবে সেটি নিয়ে চিন্তায় আছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে পাস করেছেন নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরির আশায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির চেষ্টাও করিনি। কিন্তু এখন বয়সও শেষ পর্যায়ে। করোনার কারণে বেশ কয়েকটি বড় নিয়োগের পরীক্ষা আটকে আছে। এভাবে আর কত দিন চলবে কে জানে?’

সরকারি চাকরিতে কত পদ খালি

প্রশাসনের ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৮টি পদের মধ্যে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি পদ শূন্য। জনপ্রশাসন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রকাশিত স্ট্যাটিসটিকস অফ সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২০ বই থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বইতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলোতে মোট ১৭ হাজার ৭৩৯টি পদের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৫ হাজার ৬৮টি পদ।

সরকারি বিভিন্ন বিভাগে ১৪ লাখ ৯ হাজার ৬২৬টি পদের অনুকূলে ফাঁকা ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৬টি পদ।

এ ছাড়া আঞ্চলিক ও ডিসি অফিসগুলোতে মোট ৪৭ হাজার ৩৩টি পদের অনুকূলে ফাঁকা রয়েছে ১৪ হাজার ৮৫১টি পদ। এই হিসাবের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় ও এসি ল্যান্ড কার্যালয়কেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এর বাইরেও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনগুলোতে ৪ লাখ ১১ হাজার ৪৭০টি পদের বিপরীতে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭০০টি পদই এখন ফাঁকা।

এসব ফাঁকা পদের মধ্যে ৪৬ হাজার ৬০৩টি প্রথম শ্রেণির, যা মোট ফাঁকা পদের ১২ শতাংশ। মোট ফাঁকা পদের ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৯ হাজার ২৮টি দ্বিতীয় শ্রেণির। ৫২ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯০২টি তৃতীয় শ্রেণির এবং ২৬ শতাংশ অর্থাৎ ৯৯ হাজার ৪২২টি চতুর্থ শ্রেণির পদ রয়েছে।

আরও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ২১৮১ পদে নিয়োগের ফল প্রকাশ
প্রশাসনে ৩ লাখ ৮০ হাজার পদ ফাঁকা
চাকরির বয়স ৩৫ করতে আলটিমেটাম
চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ দাবিতে সমাবেশের ডাক
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোটি ভারতীয় চাকরিহারা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

চাকরি-ক্যারিয়ার
Have to take all steps to rescue the seized khasam

বেদখল হওয়া খাসজমি উদ্ধারে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে

  - উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার
বেদখল হওয়া খাসজমি উদ্ধারে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে

বেদখল হওয়া খাসজমি উদ্ধার ও দখলদারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, কারও মুখের দিকে তাকিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা যাবে না। খাসজমির মালিক ভূমি মন্ত্রণালয়।

পটুয়াখালী জেলার সার্কিট হাউসে গতকাল অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী শহরের গুরুত্বপূর্ণ খাসজমিসহ জেলার খাসজমি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জেলার অবৈধভাবে দখলকৃত খাসজমি উদ্ধারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

তিনি আরও বলেন, মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, এসিল্যান্ড এবং ভূমি সহকারী কর্মকর্তারা খাসজমি দেখভাল করে থাকে। খাসজমি রক্ষার দায়িত্ব জেলা প্রশাসক, ইউএনও, এসিল্যান্ড এবং ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের। সংশ্লিষ্টদের অবহেলা এবং উদাসীনতার কারণে দীর্ঘ সময়ে বিপুল পরিমাণ খাসজমি বেদখল হয়েছে। কেউ প্রভাব খাটিয়ে, কেউবা জাল দলিল করে এ সব খাসজমি দখল করছে।

মন্তব্য

আমের পচন রোগে চাষি ও ব‍্যাবসায়ীদের মাথায় হাত

আমের পচন রোগে চাষি ও ব‍্যাবসায়ীদের মাথায় হাত

চলতি মৌসুমের শুরুতে না থাকলেও মৌসুমের শেষ দিকে এসে কৃষি নির্ভর মেহেরপুর জেলার আমে অজানা এক পচন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

পরিপক্ব আম গাছ থেকে সংগ্রহ করার ২-৩ দিনের মধ্যেই ডাঁটার (বোটার) দিক থেকে পচতে শুরু করছে, ফলে আম দ্রুতই খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

এতে আম চাষী ও ব‍্যাবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা ও উদ্বেগ।

কৃষি বিভাগ বলছে, এই রোগটিকে ছত্রাকজনিত ‘স্টেম-এন্ড রট’ বলে ধারণা করা হচ্ছে। “গাছ থেকেই এমন পচন শুরু হচ্ছে, যা আগে কখনও এ অঞ্চলে এমনটি দেখা যায়নি।”

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মেহেরপুরে মোট ২৩৬৬ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়ে থাকে এবং এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫,৫১০ মেট্রিক টন। এরমধ্যে যদি মাত্র এক হাজার মেট্রিক টন আমও পচে যায়, তাহলে প্রতি মনের দাম ১৫০০ টাকা ধরলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা।

আম চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়,সপ্তাহ খানেক হচ্ছে গাছ থেকে আম সংরক্ষণের দুই দিনের মধ্যেই পচে যাচ্ছে।” তিনি ধারণা করছেন এটি আবহাওয়াজনিত কোনো ভাইরাস বা ছত্রাকের সংক্রমণ।

বিভিন্ন বাজার ও বাড়িতে দেখা যাচ্ছে, আম কিনে নিয়ে যাওয়ার দুইদিন পরই পচন ধরা শুরু হচ্ছে। অনেকেই আম ফেলে দিচ্ছেন। শহরের গড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা শিখা বেগম জানান, “বাজার থেকে হিমসাগর আম কিনে এনেছিলাম, দু’দিনের মাথায় সব পচে যায়। শেষে বাধ্য হয়ে ডাস্টবিনে ফেলতে হয়েছে।”

কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রিয়জনদের কাছে পাঠানো আমও নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ভোক্তা।

জেলার গাংনী উপজেলার নিশিপুর গ্রামের আম বাগান মালিক হোসেন আলী বলেন, আম গাছে থাকা অবস্থায় গায়ে কালো আবরন পড়ে যাচ্ছে। আর সেই আম গাছ থেকে পাড়ার পরে রেখে দিলেই দুই এক দিনের মধ‍্যে পচে যাচ্ছে। আর সব আম এক সাথেই পেকে যাচ্ছে। যার ফলে শেষ সময়ে আমের দাম একটু বাড়তি পাবো ভেবে ছিলাম এখন দেখি উল্টো আম পচে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই আম বাগান থেকে হেঠাতে পারলি বাচি।

আম ব‍্যাবসায়ী সিহাব বলেন,আমরা বাগান মালিকদের কাছ থেকে আম সংগ্রহ করে থাকি। বতর্মানে এলাকার বাগান গুলোতে এখন হিমসাগর,ন‍্যাংড়া,আম্রপালি আম পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা নিয়ে এসে বিক্রি করতে গেলে লোকশানে পড়তে হচ্ছে। আম এক থেকে দুইদিন রাখতেই সব পচে কালো হয়ে গলে যাচ্ছে। বিশ কেজি আমে দুই কেজি পচা আম বের হচ্ছে। এমন ভাবে আসলে ব‍্যাবসা করা কঠিন।

আম ক্রেতা রাজিবুল হক বলেন, আমি বাড়ির জন‍্য তিনদিন আগে দশ কেজি কাচা-পাকা মিলিয়ে আম কিনে গিয়েছিলাম। সেগুলোর মধ‍্যে অধিকাংশই আধাপাকা ছিলো অথচ আম না পেকে পচন ধরতে শুরু করে।তিনদিন পরে দেখি অধিকাংশ আম পচে শেষ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামসুল আলম বলেন, আবহাওয়াজনিত ছত্রাকবাহিত (স্টেম-এন্ড রট) রোগে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। তবে আম সংগ্রহের অন্তত ১৫ দিন আগে গাছে ওষুধ ব্যবহার বন্ধ রাখতে হয়। তিনি আরও বলেন, “কোনো চাষি বা ভোক্তা থেকে লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় এখনো মাঠপর্যায়ে কারিগরি টিম প্রেরণ করা হয়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই দ্রুত রোগনির্ণয় ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরবর্তী মৌসুম গুলোতেও আম উৎপাদন হুমকির মুখে পড়বে। প্রয়োজন মাঠ পর্যায়ে নজরদারি, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ। যেহেতু এ অঞ্চলের হিমসাগর আম এখন জিআই পণ‍্য হিসেবে শিকৃতি লাভ করেছে। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আম রপ্তানির শুরুতেই হোচট খাবে।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Meeting rally in the NBR area from the capital of the capital

রাজধানীর শিশুমেলা থেকে এনবিআর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

রাজধানীর শিশুমেলা থেকে এনবিআর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোডের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আগামীকাল রবিবার (২২ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। শনিবার (২১ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘শেরেবাংলা নগর থানার অন্তর্গত শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোডে অবস্থিত এনবিআর কার্যালয় (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), বিডা কার্যালয় (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও আশেপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’

ডিএমপি জানিয়েছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী রবিবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে সই করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Foreign investment in the country has decreased by 5 percent

দেশে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ১৩ শতাংশ

দেশে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ১৩ শতাংশ

দেশে ২০২৪ সালে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ—এফডিআই আগের বছরের চেয়ে ১৩ শতাংশ কমেছে। গত বছর প্রকৃত এফডিআই এসেছে ১২৭ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ। ২০২৩ সালে নিট এফডিআই ছিল ১৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের বিশ্ব বিনিয়োগ রিপোর্টে বিদেশি বিনিয়োগ আসার ওই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ২০২৪ সাল শেষে বিদেশি বিনিয়োগের স্থিতি ১ হাজার ৮২৯ কোটি ডলার, যা দেশের জিডিপির মাত্র ৪ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় এ ক্ষেত্রে গড় হার ১৩ শতাংশ।

ভারতের হার ১৪ শতাংশ। ভুটানের মতো দেশে এ হার ১৭ শতাংশ। বাংলাদেশে ২০২৪ সালে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগে অর্থের ঘোষণার পরিমাণও কমেছে।

ঘোষিত অর্থের পরিমাণ ১৭৫ কোটি ডলার। গত বছরের তুলনায় যা ৩৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে বিদেশে মাত্র ৭০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮৫ কোটি টাকা।

গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২১ সালে দেশের বাইরে সর্বাধিক ৮ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব যখন আরো গভীর সহযোগিতা ও বিস্তৃত সুযোগ সৃষ্টির দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা, তখন ঘটছে তার বিপরীত। ২০২৪ সালে বৈশ্বিকভাবে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় ধাক্কা। অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে মন্দা, শিল্প খাতে চাপ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি কম মনোযোগ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বাণিজ্য উত্তেজনা, নীতিগত অনিশ্চয়তা এবং ভূরাজনৈতিক বিভাজন বৈশ্বিক বিনিয়োগ পরিবেশকে আরো জটিল করে তুলছে।

তবে অন্ধকারে কিছুটা আশার আলোও রয়েছে। ডিজিটাল অর্থনীতিকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এর প্রবৃদ্ধি এখনো অসম। ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে ডিজিটাল পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরি। কারণ, ডিজিটাল সংযুক্তি হতে পারে অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রগতির একটি শক্তিশালী চালিকাশক্তি, যদি তা সবার কাছে পৌঁছানো যায়। প্রতিবেদনটি সরকারগুলোকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) অর্জনে সহায়তা করার বিষয়ে ব্যবহারিক নির্দেশনা দিয়েছে। এ সময়টাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একসঙ্গে কাজ করার, যাতে আরো সহনশীল ও টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলা যায়। সে লক্ষ্যে প্রতিবেদনটি বিভিন্ন নীতিগত ধারণা ও পরামর্শ তুলে ধরেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং এর আগ থেকে জ্বালানি সংকটের কারণে বিদেশি বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। যার প্রভাব কিছুটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হলেও সেটি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সন্তোষজনক নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট ২০২৪ এ প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০২০ সালের চেয়ে ২০২১ সালে এফডিআই প্রবাহ বেড়েছিল ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০২২ সালে প্রবাহ ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে ছিল ৩৪৮ কোটি ডলার। ২০২৩ সালে ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে প্রবাহ হয়েছে ৩০০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ভিয়েতনামে বেড়েছে ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। কম্বোডিয়ায় এফডিআই প্রবৃদ্ধি ২০২৩ সালে হয়েছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। পাকিস্তানে এফডিআই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

২০২৩ সালে ৪৫টি স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) এফডিআই ১৭ শতাংশ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলারে দাড়িয়েছে। এর প্রায় ৫০ শতাংশ প্রবাহ কেন্দ্রীভূত ছিল কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, বাংলাদেশ, উগান্ডা এবং সেনেগাল—এ পাঁচ দেশে। গত এক দশকে স্বল্পোন্নত দেশের বহিঃখাতগুলোয় অর্থায়নের অন্যান্য উৎসের তুলনায় এফডিআই প্রবৃদ্ধিই পিছিয়ে আছে। সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন সহায়তা এবং রেমিট্যান্স হার স্বল্পোন্নত দেশের তুলনায় উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোর তুলনায় বেশি। ওই বছর বৈশ্বিকভাবে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ ১০ শতাংশের বেশি কমে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে স্থবির ছিল।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Coppy lamp is the only reliance on 3 year old Kashem

কুপি বাতিই একমাত্র ভরসা ৯৩ বছরের কাশেমের !

মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকে বসবাস, তবু নেই বিদ্যুৎ
কুপি বাতিই একমাত্র ভরসা ৯৩ বছরের কাশেমের !

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে যখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, তখনও শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সারিকালীনগর গ্রামের নামাপাড়ায় কিছু মানুষ বাস করছেন বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারে। ওই গ্রামের ৯৩ বছর বয়সি বৃদ্ধ আবুল কাশেম এবং তার বাড়ির তিনটি পরিবার আজও কুপি বাতি ও হারিকেনের আলোতেই দিন কাটাচ্ছেন। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে এই বাস্তবতা যেন এক অসম্ভব কাহিনী।

এই তিনটি পরিবার বছরের পর বছর ধরে বিদ্যুৎ ছাড়াই জীবন যাপন করছেন। ঘরে নেই একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব, নেই সৌর প্যানেল, এমনকি নেই চলাচলের উপযোগী রাস্তা পর্যন্ত। বর্ষা মৌসুমে ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। জলাবদ্ধ অবস্থায় কেটে যায় দিনের পর দিন। বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারেরও নেই কোনো ব্যবস্থা।

বৃদ্ধ আবুল কাশেম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
‘৯৩ বছর বয়স আমার। মুক্তিযুদ্ধের আগ থেইকা এইখানে আছি। কিন্তু এখনও নিজের ঘরে বিদ্যুতের আলো দেখিনাই। হারিকেনেই চলি। রাস্তা না থাকায় অন্যের জমির আইল দিয়া হাটতে হয়। আমার বড় পোলা মারা গেল, কিন্তু জায়গা না থাকায় ঘরের মেঝেতেই কবর দিছি। মানুষজন ছবি তুলে যায়, কিন্তু আর কোনো খোঁজ নেয় না।’

চরম জমির সংকটে পড়া এই পরিবারে মৃত্যুর পর মরদেহ দাফনের জন্য পর্যন্ত জায়গা মেলে না। কাশেমের বড় ছেলের মৃত্যুর পর ভাঙা ঘরের মেঝে খুঁড়ে তাকে দাফন করতে হয়েছে। এখন আর দাফনের মতোও কোনো স্থান অবশিষ্ট নেই। জীবনে যেমন আলো নেই, মৃত্যুতেও নেই নিজের জায়গায় কবরের নিশ্চয়তা।

এই পরিবারে কেউই শিক্ষা লাভ করতে পারেনি। ছোট-বড় সবার জীবন কেটে যায় কুপি বাতির আলোয়। রান্না, সেলাই, গৃহস্থালির প্রতিটি কাজ চলে কেরোসিন-জ্বালানো হারিকেনের আলোতে। রাতে নিয়ম করে হারিকেন পরিষ্কার, কেরোসিন ভরা, রেশা বদলানোর কাজ করতে হয়—এ যেন কুড়ি বছরের পুরোনো গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি।

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন,
‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই পরিবারগুলো যেন বিদ্যুৎ, রাস্তা ও পানির সুবিধা পায়, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হবে।’

এদিকে সেচ্ছাসেবী ও তরুণ সমাজও এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
‘ব্লাডচাই’-এর প্রতিষ্ঠাতা শান্ত শিফাত বলেন,
‘আমরা যখন উন্নয়নের গল্প বলি, তখন এমন একটি পরিবার বিদ্যুৎহীন অন্ধকারে বাস করছে—এটা মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত সেখানে বিদ্যুৎ ও মৌলিক সেবা পৌঁছে দিতে হবে।’

স্বেচ্ছাসেবী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন,
‘ওই পরিবার কেবল আলো থেকেই নয়, বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত। এটা কেবল সামাজিক নয়, সরকারি হস্তক্ষেপের দাবিও রাখে।’

স্থানীয় তরুণ শুভ বলেন,
‘শৈশব থেকেই দেখে আসছি ওই বাড়িতে কুপি বাতি জ্বলছে। বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার মতো সামর্থ্যও নেই ওই বৃদ্ধের। আমরা চাই, এই অবহেলা অবিলম্বে বন্ধ হোক।’

এক সময় গ্রামীণ জীবনের চিরচেনা দৃশ্য ছিল কুপি বাতি ও হারিকেন। অথচ আজও নামাপাড়ার এই পরিবারগুলো সেই আলো আঁকড়ে বাঁচতে বাধ্য হচ্ছে। উন্নয়নের জোয়ারে এগিয়ে যাওয়া ঝিনাইগাতীর বুকে এমন একটি নিভৃত অন্ধকার যেন এক নির্মম বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
Sherpur is popular in Sherpur

শেরপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় খেলা

আনন্দে মেতে উঠে সব বয়সী মানুষ
শেরপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় খেলা

কৃষকের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগিতা। কিন্তু নানা কারণে এ খেলাটি দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে শুকনো মৌসুমে শেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়ে থাকে এ খেলা। শেরপুর সদরের চরশেরপুর নাগপাড়ায় মই দৌড় খেলার আনন্দে মেতে উঠে কৃষক সহ সাধারণ মানুষ।

শেরপুর জেলার কৃষকদের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ষাড়ের মই দৌড় খেলা। শুকনো মৌসুমে মাঝে মাঝেই জেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগিতা। যেখানেই আয়োজন করা হয় এ মই দৌড় খেলা, সেখানেই হাজির হয় হাজার হাজার বয়স্ক, যুবক শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ খেলাকে অনেকেই এখনো দেখেই নি। নতুন করে এ খেলা দেখে তারা খুব আনন্দ পেয়ে থাকে। যে এলাকায়ই ষাড়ের মই দৌড় খেলা অনুষ্ঠিত হয় সেখানেই উৎসবের আমেজ বয়ে যায়। ১৯ জানুয়ারি এমনই এক খেলার আয়োজন করে উৎসবে মেতে উঠে শেরপুর সদরের চরশেরপুর নাগপাড়া এলাকার মানুষ।

একটি মইয়ে ৪টি ষাড় গরু থাকে। আর এরকম দুটি করে মই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অনেক সময় নির্ধারিত দাগের বাইরে চলে যায় ষাড়ের মই। এতে আউট ধরা হয় ওই মইকে। এখানে থাকে দুজন মইয়াল। আরো থাকে ৩ জন ধরাল। রেফারীরর বাশিঁ ফুকানোর সঙ্গে সঙ্গেই মইগুলোর ষাড়েরা দৌড়ানো শুরু করে। যে মই বিজয়ী হয় তখন তারা মেতে ওঠে আনন্দে। আর চারদিকে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার নারী, পুরুষ, শিশুর উল্লাস ধ্বনিতে মূখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এ খেলা দেখাতে পেরে ময়ালরাও অনেক খুশি।

গ্রামবাংলার ষাড়ের দৌড় খেলা হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে জানান দিতে নাগপাড়ায় প্রথমবারের মতে এ খেলার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের আগ্রহের কারণে পরবর্তীতেও আয়োজন করা হবে ঐতিহ্যবাহী ষাড়ের মই দৌড় প্রতিযোগিতা। এমনটাই জানালেন আয়োজকরা।

বিভিন্ন স্থান থেকে ৮টি মই দৌড় দল এ খেলায় অংশ গ্রহণ করে। এতে জামালপুর জেলা ইসলামপুরের চন্দনপুরের হাবু বেপারি চ্যাম্পিয়ন হয়।

খেলাশেষে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করবে ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহানুর রহমান সাইম, শিক্ষক আসমত আলীসহ আরো অনেকে।

আয়োজক আসমত আলী বলেন, ‘এ খেলার প্রতি কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের আগ্রহ আছে, তাই আমরা প্রতিবছর এ খেলার আয়োজন করব।’

মন্তব্য

চাকরি-ক্যারিয়ার
The price of chicken and eggs but the rice market

মুরগি ও ডিমের দাম কমলেও চালের বাজার চড়া

মুরগি ও ডিমের দাম কমলেও চালের বাজার চড়া

কোরবানি ঈদের পর বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। সবজির দামও আগের মতোই। তবে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের আগের তুলনায় বর্তমানে খুচরায় মোটা চাল (বিআর-২৮, পারিজা) মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা প্রতি কেজিতে। সরু চালের মধ্যে জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৪ থেকে ৭৮ টাকা, মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮০ টাকা এবং কাটারিভোগ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে।

পুরান ঢাকার নয়াবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী নিজাম জানান, ঈদের পর থেকে চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘মিল মালিকদের দাবি অনুযায়ী, ধানের দাম বৃদ্ধির ফলে চালের দাম বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও বাড়তে পারে।’

অলিগলির ছোট মুদি দোকানগুলোতে চালের দাম কিছুটা বেশি দেখা গেছে। বংশাল এলাকার মুদি দোকানদার মজিদ মিয়া বলেন, ‘এই ধরনের দোকানে বাকির পরিমাণ বেশি। আমাদের বেশি ইনভেস্ট করতে হয়, তাই কিছুটা বাড়তি দামে চাল বিক্রি করি।’

চালের উচ্চমূল্য ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্তি সৃষ্টি করলেও মুরগি, ডিম ও সবজির দাম কিছুটা কমে ক্রেতাদের স্বস্তি দিয়েছে। মুদি পণ্যগুলোর দামেও তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যায়নি। পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীও কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

এক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় নেমে এসেছে, যেখানে ঈদের আগে তা ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। ডিমের দামও কমে প্রতি ডজন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় এসেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম এবং চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় দাম কমেছে।

বাজারে আগত বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, কোরবানির ঈদের পর অনেক ঘরেই এখনো মাংস রয়েছে। ফলে ডিম ও মুরগির চাহিদা কম। তবে তারা আশঙ্কা করছেন, কিছু দিন পর চাহিদা বাড়লে মুরগির দাম আবারও বেড়ে যেতে পারে।

পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার ও নয়াবাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইসঙ্গে সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে—বর্তমানে তা প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের বাজারে উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি; বড় ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম তুলনামূলক বেশি।

সবজির বাজারেও দেখা গেছে ইতিবাচক প্রবণতা। পুঁইশাক, বেগুন, পেঁপে, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গে ও মিষ্টি কুমড়ার মতো সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে এসব সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা বেশি ছিল। বড় বাজারের তুলনায় ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে দাম আরও কিছুটা কম।

মন্তব্য

p
উপরে